ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে ‘কটাক্ষ’ করায় আব্দুন নূর তুষারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে নিয়ে ফেসবুকে কটাক্ষ করায় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও চিকিৎসক আব্দুন নূর তুষারের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বাদি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন।

ডা. আব্দুন নূর তুষার (৫০), রাজিয়া কবির (৩৭) ও রিপন খাঁনসহ (৪০) এই তিনজনের ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট শেয়ারকারী অজ্ঞাতনামা আরও ৬৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, “গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টায় ডা. আব্দুন নূর তুষার তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আজ ২০-০৪-২০২০ ইং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়ায় করোনা ভাইরাস কোভিড- ১৯ পরীক্ষার আরটি পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করা হয়। সামাজিক দূরত্বের নমুনা দেখুন। পুরো দেশটাই বি-বাড়িয়া বলদ বাড়িয়া।’ ডা. তুষার কোনো কারণ ব্যাতিত এবং অনুল্লেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বি-বাড়িয়া মর্মে বিকৃত উচ্চারণে উপস্থাপন করে আইন ভঙ্গ করেছেন।”

অভিযোগে আরও বলা হয়, “ডা. তুষারের পোস্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ৩২ লাখ মানুষের মনে ক্ষোভ ও উত্তেজনা উষ্কে দেয়। এই পোস্টের কারণে যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তানরা বিবাদ ও কলহের সম্মুখীন হওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছেন ডা. তুষার। ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন প্রজ্ঞাপন দ্বারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ “বি-বাড়িয়া”কে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য করে গ্যাজেট ভূক্ত করা হয়।”

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, “অভিযুক্তদের এই অপকর্মে সমগ্র জেলাবাসীর মতো আমিও অপমানিত ও মর্মাহত হয়েছি। ‘বলদ বাড়িয়া’ বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৩২ লাখ মানুষকে অপমান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অন্য জেলার মানুষের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমি সংক্ষুব্ধ হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেছি।”

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, “অভিযোগটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারায় দায়ের করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণের আগে পুলিশ হেড কোয়াটারের অনুমতি প্রয়োজন হয়। আমরা পুলিশ হেড কোয়াটারের অনুমতি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করবো।”

 

আপনার মতামত দিন :