জনবল ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় আনার বিষয়ে চলছে পরিকল্পনা চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুত হচ্ছে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল Jewel Das Jewel Das Guptha প্রকাশিত: ১:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২০ সরকারি দুটি হাসপাতালের পাশাপাশি নগরীতে বেসরকারি পর্যায়ে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকেও শুধু করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষ। শুধু করোনা রোগীর চিকিৎসায় ডেডিকেটেড করে হাসপাতালটি প্রস্তুত করে তোলার এই উদ্যোগ বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও স্বাস্থ্য প্রশাসন এই উদ্যোগে সহায়তা করছে। হাসপাতালটি প্রস্তুতের কাজ ত্বরান্বিত করতে এবং কার্যক্রম সমন্বয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ কমিটির আহ্বায়ক। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী খানকে। হাসপাতালটিতে এরইমধ্যে ৮০টি আইসোলেশন বেডের পাশাপাশি ভেন্টিলেটরসহ ১২টি আইসিইউ বেড স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. লিয়াকত আলী খান। এখন জনবল ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে শুধুই করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য ঢাকায় বেশ কয়টি বেসরকারি হাসপাতালকে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় নিয়েছে সরকার। এর আদলে বেসরকারি উদ্যোগে প্রস্তুত করা হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় আনার পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। এমন প্রস্তাবনা দিয়ে বিষয়টি চিন্তা-ভাবনার জন্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে চট্টগ্রামের জেলাপ্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অংশ নেয়া সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, করোনা রোগীর চিকিৎসার সুবিধার্থে ঢাকায় যেভাবে বেশ কয়টি বেসরকারি হাসপাতালকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নেয়া হয়েছে, চট্টগ্রামে বেসরকারি উদ্যোগে প্রস্তুত করা হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটিকেও ওভাবে নেয়ার বিষয়টি দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মূখ্য সচিব মহোদয়। হয়তো সেভাবেই হাসপাতালটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হবে। কয়েক মাসের জন্য হাসপাতালটিকে স্বাস্থ্য বিভাগের (সরকারি) ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসা হতে পারে। সেটি হলে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সকল জনবলের বেতন-ভাতাসহ সব খরচ সরকারি ভাবে প্রদান করা হতে পারে। এ জন্য বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনাও প্রস্তুত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এদিকে, হাসপাতালটিতে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে চিকিৎসক-নার্স-ওয়ার্ডবয়-আয়াসহ মোট কত সংখ্যক জনবল প্রয়োজন হতে পারে, এর জন্য একটি প্রটোকল প্রস্তুত করার কাজ চলছে বলে জানান বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী খান। তিনি বলেন, জনবলের বিষয়ে একটি প্রটোকল তৈরি করতে আমাদের বলা হয়েছে। আমরা এখন সেটি তৈরি করছি। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে সেটি হয়ে যাবে। নিজেদের উদ্যোগে প্রস্তুত করা হলেও আল্টিমেটলি হয়তো সরকারি ব্যবস্থাপনায় এর চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা হতে পারে জানিয়ে ডা. লিয়াকত আলী খান বলেন, রোববার (আজ) বিকেলেও এ নিয়ে মেয়র মহোদয়ের সাথে আমাদের বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে। মূলত জনবল ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও জানান তিনি। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এই হাসপাতালটি প্রস্তুত করলেও প্রয়োজন হলে আরো একাধিক হাসপাতাল করোনা রোগীর চিকিৎসায় ডেডিকেট করে প্রস্তুত করে তোলার কথা জানিয়েছিলেন ডা. লিয়াকত আলী খান। তিনি বলেন, পাঁচলাইশের ফরটিসও আমরা বিবেচনায় রেখেছি। প্রয়োজনে সেটিও প্রস্তুত করা হবে। প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামে সরকারি দুটি হাসপাতাল নির্ধারণ করে করোনা মোকাবেলায় গঠিত জেলা পর্যায়ের কমিটি। এর একটি ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতাল, অপরটি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় প্রস্তুতি হিসেবে বিআইটিআইডি হাসপাতালের ৫০টি এবং জেনারেল হাসপাতালের ১০০টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাসপাতাল দুটিতে এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসাসেবা শুরু হয়েছে। সুত্রঃ আজাদী আপনার মতামত দিন : SHARES দেশজুড়ে বিষয়: