করোনা পরিস্থিতি: কারাগারে থাকা জঙ্গিদের ওপর বেড়েছে নজরদারি

প্রকাশিত: ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে কারাগারে থাকা জঙ্গিদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। বন্দিদের ধর্মীয় অনুভূতির সুযোগ নিয়ে যাতে জঙ্গিরা কোনও তৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও কারা কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নজরদারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর মানুষের মধ্যে ধর্ম চর্চা বেড়েছে। তাছাড়া কারাগারে যাওয়ার পর বেশিরভাগ বন্দিই ধর্ম চর্চা বেশি করে। আর এক্ষেত্রে মেশার সুযোগ পেলে সেই সুযোগটি নিতে চায় জঙ্গিরা। তাই কোনও অবস্থাতেই যাতে জঙ্গিরা সেই সুযোগ নিতে না পারে, সেজন্য করোনা পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কারাগার কর্তৃপক্ষগুলোকে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

কারা অধিদফতরের মার্চের (২০২০) তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে কারাগারে ৬০০ এর কিছু বেশি জঙ্গি বন্দি রয়েছে। জঙ্গি বন্দিদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে রাখা হলেও বেশিরভাগ জঙ্গি বন্দিকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি, ১ ও ২ কারাগারে রাখা হয়েছে। নজরদারি সুবিধার জন্য এবং তারা যাতে অন্যদের সঙ্গে মিশতে না পারে সেজন্যই জঙ্গিদের এসব কারাগারে রাখা হয়েছে। এসব জঙ্গিরা জামাতুল মুজাহিদীন (জেএমবি), হিযবুত তাহরির, হরকাতুল জিহাদ, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও নব্য জেএমবির সদস্য হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে। এসব জঙ্গি বন্দির মধ্যে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির দণ্ড রয়েছে।

কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা নজরদারি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছি। তাছাড়া তারা তো সব কারাগারে নাই। কিছু নির্দিষ্ট কারাগারে তাদেরকে রাখা হয়েছে। সেগুলোতে আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। সাধারণ বন্দিদের কাছ থেকে তাদেরকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। তাছাড়া কারাগারে মেলামেশার অবাধ সুযোগ এমনিতেই নাই। তারপরও আমরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহীদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউন বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যাতে কারাগারে থাকা জঙ্গিরা অনৈতিক কোনও সুযোগ নিতে না পারে, সেজন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারা টু দ্য পয়েন্টে এই বিষয়ে কাজ করছে। বিষয়টি আমরা বিশেষভাবে নজরদারি করছি।

পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নজরদারি ছাড়াও প্রায়ই বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত মার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান হামলার পর থেকে ওই মাস পর্যন্ত ২৮টি বড় ধরনের অভিযান চালানো হয় পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে। এসব অভিযানে ৭৯ জন জঙ্গি নিহত হয়।

সূত্রঃ বাং ট্রি

আপনার মতামত দিন :