কিশোরগঞ্জে চিকিৎসকসহ ১৩ জনের করোনা জয়

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ২:১২ পূর্বাহ্ণ, মে ৪, ২০২০

কিশোরগঞ্জের করোনা ডেডিকেটেড শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ চিকিৎসকসহ ১৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এ নিয়ে হাসপাতালটি থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেলেন ৪ চিকিৎসকসহ ২১ জন।

রোববার (৩ মে) কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে মেডিভয়েসকে তিনি বলেন, জেলার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটি থেকে আজ (৩ মে) একজন চিকিৎসকসহ ১৩ জন করোনা জয়ী রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরপর দুইবার তাদের নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসায় তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এ নিয়ে ৪ জন চিকিৎসকসহ ২১ জন রোগী সুস্থ হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়াও জেলার হোম আইসোলেশনে থাকা বেশ কয়েকজন করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। খুব শীগ্রই তাদের তালিকা করে প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ডা. মুজিবুর রহমান।

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা করোনা জয়ীরা হলেন, ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সজিবুল ইসলাম (২৯), একই হাসপাতালের দুই ইপিআই টেকনোলজিস্ট মামুনুর রশিদ (২৮) ও কারিনা খাতুন (২৩), ইটনা উপজেলার পাগলশী গ্রামের মারুফা আক্তার (৩৫), ভৈরব থানার পুলিশ সদস্য আবদুস সামাদ (৪৫), ভৈরব উপজেলার কাজী আবুল হোসেন (৬২), তার দুই মেয়ে স্নিগ্ধা (২৩) ও নউরিন শারমিন নিলা (১৮), একই উপজেলার রাজু আহমেদ (২৫), মিঠামইন উপজেলার ফিরোজ মিয়া (৪৫) ও আলফাজ উদ্দিন (৩২), পাকুন্দিয়া উপজেলার চরতেরটেকিয়া গ্রামের উসমান মিয়া (৬৫) এবং হোসেনপুর উপজেলার নারায়ণডহর এলাকার আসাদ মিয়া (৩০)।

জেলার করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে জানিয়ে তিনি বলেন, জেলায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় সুস্থের হার অনেক বেড়েছে। গতকাল (২ মে) জেলায় নতুন করে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র দুই যা আগের তুলনায় অনেক কম। এটিকে জেলায় করোনা রোগী বিশেষ করে আক্রান্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করার সুফল হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনা শনাক্তের পর কিশোরগঞ্জকে করোনার অন্যতম হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এখন পর্যন্ত জেলাটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০১, যার একটি বড় অংশই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। তবে সম্প্রতি জেলায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে এবং সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আপনার মতামত দিন :