সারাদেশে আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইনে আছেন যত জন

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ, মে ১৪, ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসকদের পরামর্শে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। রোগী ও সন্দেহভাজন রোগী ক্রমেই বাড়তে থাকায় রাজধানীসহ সারাদেশে কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন সেন্টারের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।

বুধবার (১৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীদের সংখ্যা তুলে ধরেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ১৫০ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন তিন হাজার ৪৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৬ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৩৩২ জন।

সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে আট হাজার ৬৩৪টি। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে দুই হাজার ৯০০টি ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে পাঁচ হাজার ৭৩৪টি। এছাড়া আইসিইউ শয্যা আছে ৩৩৫টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০২টি। আইসিইউ শয্যা ও ডায়ালাইসিস ইউনিট বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বুলেটিনে ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৫৫৮ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ২৭ হাজার ৬৪২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৬৬২ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৩৬১ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪৫ হাজার ২২১ জন।

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬১৭টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ১৬৫ জনকে।

এসব তথ্য তুলে ধরার আগে তিনি জানান, করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ভাইরাসটি হানা দেয়ার পর দেশে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬৯-এ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ১৬২ জন। এটিও একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ হাজার ৮২২ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৪ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন হাজার ৩৬১ জন।

আপনার মতামত দিন :