কুমিল্লায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ইন্টার্ন চিকিৎসক মৃত্যুশয্যায়

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৩:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০

অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন কুমিল্লার ময়নামতি মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক রবি মারজুক। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত নিয়ে কুমিল্লার মুন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন তিনি।

এ ঘটনায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানায় মামলা করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো আসামিকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মুন হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের ছুরির আঘাতে ডা. রবি মারজুকের ফুসফুসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন তার ফুসফুসে ইন্টারনাল ব্লিডিং হচ্ছে। এতে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছেন না তিনি। আঘাতের ধরণ দেখে মনে হয় মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই ডা. রবি মারজুকের ওপর আঘাত করা হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে রয়েল পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা থেকে কুমিল্লার টমসমব্রিজ এলাকায় নামেন ডা. রবি মারজুক। সেখান থেকে কিছুদূর হেঁটে যাওয়ার পরই মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা তাঁকে ঘিরে ধরে। এ সময় অস্ত্রের মুখে তাকে সেখানে অপেক্ষমান অটোবাইকে উঠতে বাধ্য করে তারা।

এরপর তার বুকে-পিঠে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এক পর্যায়ে অটো-বাইক থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয় তারা। পরে পালিয়ে যাবার সময় ডা. মারজুকের পায়ের ওপর অটো-বাইক উঠিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা।

ঘটনার পরদিনই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কোতোয়ালি এবং সদর দক্ষিন দুই থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার আশপাশের লোকদের জবানবন্দি নিয়েছেন ডিবি পুলিশের একটি টিম। দ্রুতই আসামি গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন তারা।

ভার্চুয়াল জগতে চিকিৎসকদের ক্ষোভ

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। তারা অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

একই মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ডা. তোফায়েল আহমেদ তামিম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে বলেন, ‘ময়নামতি মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. রবি মারজুক (রবি মারজুক) সবার ভরসার জায়গা। তার কাজই হচ্ছে সবার বিপদে এগিয়ে আসা। অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের নির্মম ছুরিকাঘাতে আজ মৃত্যুশয্যায়, তারা চেয়েছিল ছেলেটিকে খুন করে ফেলতে। তাই হয়তো বুক বরাবর এতগুলো ছুরির আঘাতের চিহ্ন। কোথায় ছুরি চালায়নি তা হয়তো খুঁজে বের করতে বেগ পেতে হবে! মুখ, হাত, কাধ, পিঠ ও পায়ে কোনো জায়গা বাদ রাখেনি। এই সদা হাস্যোজ্জ্বল ছেলেটির সাথে এমন পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে।’

ময়নামতি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আযিমুল হক বলেন, ‘দোষীদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক আর ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।’

আপনার মতামত দিন :