খতনার সময় শিশুর মৃত্যু জামিন পেলেন চিকিৎসক

Selim Selim

Reja Sobuj

প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে খতনা করার সময় আহনাফ তাহমিদ নামের এক শিশুর মৃত্যুর পেছনে চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ এনে করা মামলায় চিকিৎসক এস এম মোক্তাদির হোসেন অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। জামিন চেয়ে তাঁর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে (জে এস হাসপাতাল) শিশুমৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। শিশুটির স্বজন ও পুলিশ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফখরুল আলম ও তাঁর স্ত্রী খায়রুন নাহার তাঁদের বড় সন্তান তাহমিদকে খতনা করাতে জে এস হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা শিশুটিকে অস্ত্রোপচারকক্ষে নিয়ে অবেদন (অ্যানেসথেসিয়া) করে তার খতনা করেন। কিন্তু শিশুটির আর জ্ঞান ফিরে আসেনি। পরে রাত ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শিশুটি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।

 

এ ঘটনায় চিকিৎসকের অবহেলায় সন্তানের মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগে শিশুটির বাবা সেদিন রাতে মোক্তাদির ও অবেদনবিদ (অ্যানেসথেটিস্ট) মাহবুব হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলার পরপরই মোক্তাদির হোসেনসহ দুজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন আদালত দুই চিকিৎসককে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করেন। একই সঙ্গে তাঁদের দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মোক্তাদির, যার ওপর আজ শুনানি হয়। আদালতে মোক্তাদিরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম।

হাইকোর্টে ওই মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা পর্যন্ত হাসপাতালটির পরিচালক ও চিকিৎসক এস এম মোক্তাদির হোসেনকে আদালত জামিন দিয়েছেন বলে জানান তাঁর আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় দুই মাসের ধরে তিনি কারাগারে আছেন। তিনি ওই অস্ত্রোপচার টিমে ছিলেন না। মামলায় অবহেলার কথা বললেও তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই—এসব যুক্তিতে জামিন চাওয়া হয়। জামিন হওয়ায় তাঁর কারামুক্তিতে বাধা নেই।

আপনার মতামত দিন :