ত্রাণের জন্য হাসপাতালে চার শতাধিক মানুষ Emon Emon Chowdhury প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ত্রাণের জন্য অবস্থান নিয়েছেন পাংশা পৌর এলাকার প্রায় চার শতাধিক হতদরিদ্র মানুষ। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। পরে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রফিকুল ইসলাম দরিদ্রদের বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনজুয়ারা খাতুন সুমি। এ সময় ডা. সুমি তার পছন্দের কিছু মানুষকে এ খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন বলে অভিযোগ দরিদ্রদের। এতে অনেক হতদিরদ্র সহায়তা না পেয়ে মঙ্গলবার ত্রাণের দাবিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় জমান। ত্রাণ নিতে আসা হতদরিদ্ররা জানান, সোমবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. আনজুয়ারা খাতুন গোপনে তার নিজের কয়েকজন লোককে সরকারি ত্রাণ দিয়েছেন। মঙ্গলবারও ত্রাণ বিতরণ করা হবে- এমন তথ্য জানতে পেরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় জমান তারা। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনজুয়ারা খাতুন সুমি বলেন, নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাউকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়নি। পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে এক লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সেই বরাদ্দ থেকে সোমবার ৭৫ জনের মাঝে পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করেছি। কিন্তু অনেকে ভাবছেন হাসপাতাল থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। যে কারণে মঙ্গলবার চার শতাধিক নারী হাসপাতালে ভিড় করেন। দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠান। পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার ৭৫ জনের মাঝে পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। সবাই মনে করেছে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। এজন্য হাসপাতালে ভিড় করেছেন তারা। পরে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। আপনার মতামত দিন : SHARES অপরাধ ও অসংগতি বিষয়: