করোনার উপসর্গ নিয়ে অভিনেতা কে এস ফিরোজের মৃত্যু

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০

জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতা ও টিভি পর্দার জনপ্রিয় মুখ মেজর (অব.) খন্দকার শহীদ উদ্দিন ফিরোজ (কে এস ফিরোজ) মৃত্যুবরণ করেছেন।

আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মহামারি শুরু হওয়ার আগে তিনি নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন। এরপর সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। ৫ দিন আগে তার আবার নিউমোনিয়া দেখা দেয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিএমএইচের ভ্যান্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।

এ বিষয়ে নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, অভিনেতা কে এস ফিরোজ বেশ কয়েকদিন ধরেই নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি নিউমোনিয়ার ইঞ্জেকশন নিতে আইসিডিডিআরবিতে যান। সেখান থেকে ফিরেই জ্বরে আক্রান্ত হন। জ্বর নিয়ে একটি হাসপাতালে কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন। তার অবস্থা আরও খারাপ হলে মঙ্গলবার তাঁকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভর্তি হয়েই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। সেখানেই আজ সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

কে এস ফি‌রোজের গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে। তবে তার জন্ম ঢাকার লালবাগে। নাটদ্যল ‘থিয়েটার’র সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয়ে কে এস ফিরোজের পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, কিংলিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ নাটকে। এছাড়া তিনি টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় মুখ। বহু একক নাটক, ধারাবাহিক ও টেলিফিল্মে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।

বেশকিছু সিনেমায়ও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। তার প্রথম সিনেমা ‘লাওয়ারিশ’। কে এস ফিরোজ অভিনয় করেছেন আবু সাইয়ীদের ‘শঙ্খনাদ’, ‘ বাশি’, মুরাদ পারভেজের ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’র মতো প্রশংসিত সিনেমায়।

১৯৬৭ সালে কে এস ফিরোজ বাংলাদেশে সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে চাকরি নেন। ১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অবসরে যান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১৯৭৪ সালের ১ নভেম্বর মাধবী’র সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার তিন মেয়ে রয়েছে। তারা হচ্ছেন- নাদিয়া, সাদিয়া ও রাবেয়া জাহান ফিরোজ।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আজ বাদ জোহর বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

আপনার মতামত দিন :