করোনা থেকে মুক্তি পেতে ১৪ দিনের চ্যালেঞ্জ নিন Emon Emon Chowdhury প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২০ করোনাভাইরাস বিশ্বের অনেক উন্নত দেশকে বিপর্যস্ত অবস্থায় নিয়ে গেছে। বিশ্বে এখন আক্রান্ত প্রায় ১৬ লাখ মানুষ। এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখের কাছাকাছি মানুষের জীবন প্রদীপের অবসান ঘটিয়েছে এই ভাইরাস। যুক্তরাষ্ট্রে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, ইটালি, চীনের মতো দেশ এখন করোনার কাছে অসহায়। আমাদের দেশে প্রথম আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে গত ৮মার্চ। গত এক মাসে ইতোমধ্যেই ভাইরাসটি ৪ শতাধিক মানুষকে আক্রান্ত করেছে এবং কেড়ে নিয়েছে ২৭ জন মানুষের প্রাণ। এই মুহুর্তে দেশে সরাকারি-বেসরকারি নানাভাবে ভাইরাসটি প্রতিরোধে আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। কিন্তু যে যতই চেষ্টা করুক এই ভাইরাসকে মেরে ফেলার মতো কোন ওষুধ যেহেতু এখনো বের হয়নি, সুতরাং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একে প্রতিহত করতে না পারলে ব্যাধিটি যে একেবারে আমাদের মেরুদণ্ডে আঘাত করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রাণঘাতি ভাইরাসটিকে প্রতিহত করতে করার হাতে উপায় এখন কেবল একটাই। উপায়টি হচ্ছে প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভাইরাসটিকে নিজ শরীরে প্রবেশ করতে না দেয়া। আর এজন্য আগামী ১৪ দিনের একটি চ্যালেঞ্জ আমরা সবাই নিতে পারি। চ্যালেঞ্জ: ১. আগামী ১৪ দিন আমরা বাইরের কারো সাথে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি ছাড়া মিশবো না। ২. দড়জার বাইরের কিছু টাচ করলেই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিবই। ৩. মুখে মাস্ক না পড়লে তার সাথে কথা বলবো না, বা তার সামনেই যাবো না। ৪. কোন কারণে বাইরে গেলে বাসায় ফিরেই ব্যাবহৃত জুতা স্প্রে করবো,বা জুতা বাইরে রাখবো। ৫. অন্যের মোবাইল বা কোন জরুরি জিনিসপত্র ব্যাবহার করবো না। লক্ষ্য করুন, মাত্র ১৪-২০ দিনেই এই ভাইরাসটিকে দেশ থেকে পুরোপুরি ভ্যানিশ করে দেয়া সম্ভব,যদি আমরা কেউই এই কয়দিনে এই শত্রুকে আর নিজ শরীরে ঢুকতে না দেই। শুধু আগামী ১৪টা দিন প্রত্যেকেই শুধু নিজ নিজ শরীরকে এই ভাইরাসমুক্ত রাখুন,ব্যাস এরপর সবাই মিলে আবার সাভাবিক জীবন ফিরে পাবো। মনে রাখবেন, আক্রান্ত ব্যক্তি খোলা মুখে কথা বললেও তার নিজের শরীরসহ চারপাশের ২-৩ ফিট পর্যন্ত এই ভাইরাসের শতশত জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে, তা আপনি জানেন না। আক্রান্ত ব্যক্তি কোথায় স্পর্শ করেছে তা আপনি জানেন না। আক্রান্ত ব্যক্তি কোন কোন জায়গায় থু-থু ফেলেছে,হাছি দিয়েছে তাও জানেন না। কাজেই, ধরে নিন ভাইরাসটির জীবাণু এখন সর্বত্রই পড়ে আছে। সেভাবেই নিজেকে জীবানুমুক্ত রাখুন।আগামী ১৪-২০ দিনের একটা স্বাস্থ্যসম্মত একটা প্লান মাথায় রাখুন।আপনার আশেপাশের অন্যদেরকেও এই প্লানে যুক্ত করুন (কারন আপনি একা এটি মানলে চলবে না,সবাইকেই মানতে হবে যে)। তাহলে,হয়ে যাক ১৪ দিনের একটি চ্যালেঞ্জ, আর ফিরে আসুক হারানো কর্মোচ্ছল সুদিন…। মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়,বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা। আপনার মতামত দিন : SHARES চিকিৎসক কলাম বিষয়: