ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী আজ গদ্যময়

প্রকাশিত: ১:১১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২০

আমরা সকলেই মোটামুটি বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত। বিশ্বের অবস্থা ভালো নয়,প্রতিদিনই হাজার-হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে।আমাদের বাংলাদেশও এর উর্ধ্বে নয়।করোনা পরিস্থিতিতে খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছেন দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।কখন শেষ হবে এই সংকটময় পরিস্থিতি তা কারোর অবগত নয়। অসহায় এমন বেশ কিছু মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে “লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়”এবং “লক্ষ্মীপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” এর সদ্য মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করা শিক্ষার্থীবৃন্দ।তাদের জমানো হাত খরচের টাকা এবং টিফিনের বেঁচে যাওয়া টাকায় শিক্ষার্থীবৃন্দরা এই উদ্যেগ গ্রহণ করেন। (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন মহল্লায়,রাস্তায় গাড়িতে করে দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

সদ্য মাধ্যমিক শেষ করা এক শিক্ষার্থী “নাফি” জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে চারদিকে লকডাউন অবস্থা। ফলে আমাদের আশেপাশের অনেক খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো অসহায় অবস্থায় পড়েছেন। তাদের কথা চিন্তা করেই আমি এবং আমার কিছু বন্ধু মাহি,সিজান,তাকিয়া,লাবিবা,তামিম,সিফাত এদের সাথে ব্যাপারটি আলোচনা করি। কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার পর নিজেদের জমানো টাকা এবং টিফিনের টাকা দিয়ে সামনের রমজান মাসকে মাথায় রেখেই অসহায় মানুষদের সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু জন কয়েকের টাকা একত্রিত করে খুবই কম মনে হলো। এরপর আমাদের ব্যাচের বাকী সহপাঠীদের কাছেও আমরা ব্যাপারটি পৌঁছে দিই,ফলে তারাও তাদের সাধ্য মতো অর্থ দিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসে।এছাড়া আমাদের অভিভাবকরাও আমাদের এইকাজে উৎসাহ দেন।
বন্ধুদের পাঠানো টাকা একত্রিত করে বেশ কিছু টাকা হয়। তা দিয়েই চাল, ডাল, তেল,ট্যাংক,খেঁজুর,চিনি,ছোলা,চিড়া,সাবান,, আর পেঁয়াজ কিনে বিতরণ করেছি। তবে আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বন্ধুদের পাঠানো টাকা জমিয়ে একত্রিত করে আবারও আমরা এ কাজে মাঠে নামবো।’

ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে তারা বলেন, নিজেদের হাত খরচের টাকা এবং জমানো টিফিনের টাকা আর বন্ধুবান্ধব, সহপাঠীদের দেওয়া টাকা একত্রিত করে ৫০ জন দরিদ্র মানুষকে সহায়তা দিয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতে শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে অসহায়দের পাশে সব সামর্থ্যবানদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এই শিক্ষার্থীবৃন্দ। এছাড়া এই পরিস্থিতি বহাল থাকলে তারা আবারও এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।

আপনার মতামত দিন :