প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান নিয়োগবঞ্চিত স্বাস্থ্য ক্যাডার চিকিৎসকরা

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ২:০৮ পূর্বাহ্ণ, মে ৭, ২০২০

৩২ থেকে ৩৯তম বিসিএসের স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগবঞ্চিত চিকিৎসকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে আবেদন করেছেন।

সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সুপারিশ করার পরও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিয়োগ না দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে মঙ্গলবার (৫ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন তারা।

ওই মানবিক আবেদন পত্রের উল্লেখ্য করা হয়, বিগত ৩২ থেকে ৩৯তম বিসিএসে সরকারি কর্ম কমিশনের প্রকাশিত বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে আমাদের স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু যাচাই-বাছাই শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করে। তবে অনেক প্রার্থী গেজেট থেকে বাদ পড়েন।

তারা আবেদনে আরও লেখেন, ‘বর্তমানে আমরা ও আমাদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমাদের প্রায় সকলেই বেকার। বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত চূড়ান্তভাবে নিয়োগ না পাওয়ায় আমরা সামাজিকভাবে প্রতিনিয়ত হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। ফলে আমরা মানসিকভাবে চরম হতাশাগ্রস্ত জীবনযাপন করছি।’

‘আপনি মানবতার সর্বোচ্চ উদাহরণ। সমগ্র বিশ্বে আপনার মানবতা প্রশংসিত। সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে আপনি আমাদের দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারগুলোর শেষ আশ্রয়স্থল।’

এতে আরও বলা হয়, বর্তমান বিশ্ব এক ভয়াবহ মহামারিতে আক্রান্ত। সেই করোনা মহামারি মোকাবিলায় আপনার নেতৃত্ব সারাবিশ্বে প্রশংসিত। এই যুদ্ধে ডাক্তাররা সম্মুখযোদ্ধা। আমরা স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ডাক্তাররা এই পরিস্থিতিতে দেশের জন্য লড়াই করতে সবসময় প্রস্তুত। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে আমাদের যেখানে পদায়ন করা হবে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে সচেষ্ট থাকব।’

চূড়ান্ত নিয়োগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করা হয় চিঠিতে।

নিয়োগবঞ্চিত একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পিএসসি সুপারিশ করার পরও নিয়োগ পাননি ৩২ থেকে ৩৯তম বিসিএসের এমন চিকিৎসকের সংখ্যা ২৩১ জন। আমাদের কেন নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চেয়েছি, তারা তেমন কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ, কোনো মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত কিংবা কোনো ফৌজদারি মামলা চলমান না থাকলে পিএসসির সুপারিশের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে নিয়োগ দিতে বাধ্য।’

তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পিএসসির সুপারিশের পর গোয়েন্দা প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় কেউ কেউ নিয়োগ পান না। যারা নিয়োগ পাননি, নিশ্চয়ই তাদের কোথাও না কোথাও ত্রুটি আছে।

আপনার মতামত দিন :