করোনা চিকিৎসায় প্রথম প্লাজমা দিলেন দুই চিকিৎসক

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মে ১৭, ২০২০

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাজমা দিয়েছেন করোনাজয়ী দুই চিকিৎসক। আজ শনিবার (১৬ মে) হাসপাতালের ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগে প্লাজমা দেন তাঁরা।

বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্লাজমা সংগ্রহের উদ্বোধনের পর ওই দুই চিকিৎসকের প্লাজমা নেয়া হয়।

এ দুই চিকিৎসক হলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. দিলদার হোসেন বাদল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ডা. রওনক জামিল পিয়াস। অবশ্য মিটফোর্ডের ডা. হাছিবুল ইসলামও প্লাজমা দিতে আসেন, তবে তারটা নেয়া সম্ভব হয়নি।

প্লাজমা হলো রক্তের জলীয় অংশ। রক্তের তিন প্রকারের কণিকা বাদ দিলে যে বাকি অংশ থাকে, সেটাই রক্তরস। কোনো মেরুদণ্ডী প্রাণীর শরীরের রক্তের প্রায় ৫৫ শতাংশই হলো রক্তরস। সেরে ওঠা ব্যক্তির রক্তরস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে দিয়ে চিকিৎসা দেয়ার এ প্রাচীন পদ্ধতি প্লাজমা থেরাপি নামে পরিচিত। করোনাভাইরাস চিকিৎসায়ও এই পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে ভালো ফলাফল দিতে থাকায় বাংলাদেশেও তা যাত্রা করলো।

এ বিষয়ে প্লাজমা-সংক্রান্ত সরকারি কারিগরি উপ-কমিটির প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলোজি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ খান জানান, সংগ্রহ করা প্লাজমা পরীক্ষা করে দেখা হবে এতে অ্যান্টিবডি কতটুকু আছে। পরে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে রোগীর শরীরে পুশ করতে পারবো। সাধারণ জনগণ যারা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন, তারা যেন প্লাজমা দেয়ার জন্য এগিয়ে আসেন, সে আহ্বান জানাই আমরা।

ঢামেক হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন বলেন, এমন না যে প্লাজমার চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হয়েছে। এখন আমরা রিসার্চ করছি। কার শরীরে কতটুকু অ্যান্টিবডি আছে তা দেখা হবে। সেটা দেখে আমরা ব্লাড ট্রান্সফার করবো। একজনের শরীরে ১:১৬০ অ্যান্টিবডি থাকতে হবে। সবার প্রতি অনুরোধ, এটা যেন সঠিক মাত্রা ছাড়া প্রয়োগ না করে।

এ প্রসঙ্গে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, গোটা বিশ্বই করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত। বাংলাদেশও আক্রান্ত। স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আজ প্লাজমা নেওয়া শুরু হলো। ইনশাল্লাহ আমরা সফল হবো।

আপনার মতামত দিন :