মানহীন বেসরকারি MATS বন্ধ, ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষাকে যুগোপযোগী করণে ২৬ দফা সুপারিশ

প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২০

মেডিনিউজ রিপোর্টঃ

মানহীন বেসরকারি MATS-ম্যাটস্ বন্ধ করা ও ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষাকে যুগোপযোগী করণে ২৬ দফা প্রস্তাবনার সুপারিশ করেছেন জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. এম. মিজানুর রহমান। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের নিকট তার ২৬ দফা প্রস্তাবনা বিশেষ বিবেচনার জন্য আবেদন জানান। প্রস্তাবনার ২৬ দফা হুবুহু নিম্নে তুলে ধরা হলঃ

আমি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত, বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ অধিভুক্ত ও বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিএমএফ ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী ডিপ্লোমা চিকিৎসক সেই সাথে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট জনস্বাস্থ্যবিদ। মানহীন বেসরকারি ম্যাটস্ বন্ধ করা ও ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষাকে যুগোপযোগী করণ এখন সময়ের দাবী। MATS-ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী ডিপ্লোমা চিকিৎসক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের সংকট নিরসনে মানহীন ম্যাটস্ বন্ধ করা ও ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষাকে যুগোপযোগী করণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমি দীর্ঘদিন যাবত আবেদন জানিয়ে আসছি। মানহীন বেসরকারি ম্যাটস্ বন্ধ করা ও ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষাকে যুগোপযোগী করণ প্রসঙ্গে পুনরায় আমার গবেষণামূলক ২৬ দফা প্রস্তাবনা সমূহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় বিবেচনা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করলামঃ

প্রস্তাবনা সমূহঃ
১) উচ্চশিক্ষাঃ বঙ্গবন্ধুর প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮ইং) মোতাবেক ম্যাটস্ ডিপ্লোমা পাশকৃত ও বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিএমএফ ডিগ্রিধারী পেশাগত পরিচিতি মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রাকটিশনার টাইটেল বা উপাধি ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষা-স্নাতক এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে। মেধাবী ডিপ্লোমাধারীদের উচ্চশিক্ষা বঞ্চিত রেখে ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়ন কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণেই গত ১২/০৭/২০১৯ ইং তারিখের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক জাতীয় ভাবে পরিচালিত ম্যাটস্ ডিপ্লোমা কোর্স ভর্তি পরীক্ষায় নির্ধারিত আসনের চেয়ে কম শিক্ষাথী আবেদন করে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়।

উচ্চতর শিক্ষায় সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারি ভাবে (সরকারি মেডিকেল কলেজে) M.B.B.S কোর্সে (D.M.F) ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী মেধাবী ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের জন্য ১০% কোটা বরাদ্ধ দিতে হবে এবং D.M.F ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের জন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজী ডুয়েটের ন্যায় স্বতন্ত্র (বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই সাথে জাতীয়ভাবে গৃহীত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ডিএমএফ ধারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করতে হবে।

উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, বায়োলজীসহ (এইচএসসি) পাশ করে একজন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য মেডিকেল সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি ‘এমবিবিএস’ অর্জনের সুযোগ পেলে, মাধ্যমিকে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, বায়োলজীসহ (এসএসসি) পাশ করে মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীরা মেডিসিন, সার্জারী, গাইনী এন্ড অবসটেট্রিকস, এনাটমী, ফিজিওলজী, প্যাথলজী, মাইক্রোবায়োলজী, বায়োকেমিস্ট্রি, কমিউনিটি মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, মেডিকেল জুরিসপ্রুডেন্স, কমিউনিটি হেলথ্, হেলথ্ ম্যানেজমেন্ট, মেডিকেল ইথিক্স, ইংলিশ ও কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে এক বছরের ইন্টার্নশিপসহ ৪ চার বছর পড়াশোনা করে অবশ্যই মেডিকেল সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি ‘এমবিবিএস’ কোর্সে পড়ার যোগ্যতা রাখেন। উচ্চশিক্ষা সবার মৌলিক অধিকার। এমতাবস্থায় মেধাবী ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ প্রদান করা হলে উন্নত দেশের ন্যায় নিঃসন্দেহে বাংলাদেশেও চিকিৎসা সেবা খাতে বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধিত হবে।

২) ১০ম গ্রেডঃ অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীদের ( ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ, নার্স, মিডওয়াইফ প্রভৃতির ) ন্যায় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের চাকরিতে এন্ট্রি পদে ১০ম গ্রেড প্রদান করতে হবে। চাকরিক্ষেত্রে অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীদের সাথে সহাবস্থান সুনিশ্চিত ব্যতীত ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষাকে যুগোপযোগী করণ সম্ভব নয়। এই বৈষম্য দূর করা না গেলে শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

৩) কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে নিয়োগদানঃ ২০১৪ সালের পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে কোন নিয়োগ হয় নি। ফলে প্রায় ৩০ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসক বেকার ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শূন্যপদ সহ ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা চিকিৎসক নিয়োগদান জরুরী হয়ে পড়ছে। এতো অধিক সংখ্যক ডিপ্লোমা চিকিৎসকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ব্যতিরেকে ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষা টেকসই হতে পারে না।

৪) বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের আইনানুগ কোন ভিত্তি নেই। যেকারণে এখান থেকে ডিপ্লোমাধারী ডিপ্লোমা চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা বিদেশের শ্রম বাজারে প্রবেশ করতে পাচ্ছেনা। আর দেশের অভ্যন্তরে ডিপ্লোমা মেডিকেল সেক্টরে বেকার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই ম্যাটসের জন্য হোমিওপ্যাথিক বোর্ড, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের মতো স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্মারক নং স্বাপকম/চিশিজ/বেসমেক ও ডেকহা-১/২০০৯/৬১২ তারিখ ২৩/০৭/২০০৯ ইং মূলে অনুষ্ঠিত কার্যবিবরণী সভার লিখিত প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আইন দ্বারা বলবৎকৃত সংবিধিবদ্ধ সংস্থা “মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড” গঠন করতে হবে। উক্ত প্রস্তাবিত বোডের্র গঠনতন্ত্রে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন বিডিএমএ’র সম্মানিত সভাপতি, মহাসচিব, উপদেষ্টাদের ৫ জনকে সদস্যপদ করতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড, বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডে এধরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

সেই সাথে উল্লেখ থাকে যে, যেহেতু পূর্বের স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইষ্ট বেঙ্গল থেকে ‘স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইস্ট পাকিস্তান’ বর্তমানে ‘দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব বাংলাদেশ’ এর ডিপ্লোমা সমমান চিকিৎসকদের সনদের নাম ফ্যাকাল্টির নামানুসারে ডি.এম.এফ ছিল। কিন্তু বর্তমানে দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব বাংলাদেশ বিলুপ্ত করে নতুন করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড’ গঠন করা হলে ম্যাটস্ ডিপ্লোমা ডিগ্রির কোর্সের শিরোনাম ফ্যাকাল্টির নামানুসারে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) রাখা সমীচীন হবে না। সেক্ষেত্রে ডি.এম.এফ কোর্সের নাম পরিবর্তন করে ডিপ্লোমা ইন মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএমএস) রাখাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত হবে।

৫) ইন্টার্নশিপকালীন সময়ে প্রত্যেক ইন্টার্নকে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা চালু করতে হবে। পূর্বে ইন্টার্নশিপকালীন সময়ে ম্যাটস্ ডিপ্লোমাধারীরা ইন্টার্ন ভাতা পেত, বর্তমানে ভাতা দেয়া বন্ধ আছে। অবিলম্বে পুনরায় ইন্টার্ন ভাতা ব্যবস্থা চালুসহ এমবিবিএস ধারীদের ন্যায় ইন্টার্নশিপ লগবুক তৈরী করতে হবে।
ইন্টার্নশিপকালীন সময়ে একজন ম্যাটস্ ডিপ্লোমাধারী ১ বছর হাসপাতাল সমূহে কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন। ইন্টার্নদের তাদের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সামান্য ভাতা প্রদান করা হলে প্রত্যেক ইন্টার্ন ডিপ্লোমা চিকিৎসকের কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

৬) বেসরকারি ম্যাটস্ পরিচালনা নীতিমালা ২০১০-এ পরিষ্কার বলা আছে ম্যাটস্ ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনার এক বছরের মধ্যে সকল ম্যাটস্ সমূহ বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে। বাস্তবে বেশিরভাগ ম্যাটস্ বিএমডিসি’র স্বীকৃতি ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে এসব ম্যাটস্ পাশকৃত ডিপ্লোমাধারীরা বিএমডিসি’র পেশাগত নিবন্ধন সনদ পাচ্ছেনা। বিএমডিসি’র পেশাগত নিবন্ধন সনদ ব্যতীত চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করলে আইনে জেল ও জরিমানার উভয়দণ্ড বলবৎ রয়েছে। কবে নাগাদ এসব ডিপ্লোমাধারীরা পেশাগত নিবন্ধন সনদ পাবেন তারও কোন হদিস নেই। বিএমডিসি’র সনদ না পেলে এসব ডিপ্লোমাধারীর জীবন সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের সাথে বিএমডিসি’র স্বীকৃতি ছাড়া কোন বেসরকারি ম্যাটস্ যাতে ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করতে না পারে সে জন্যে নীতিমালায় সংশোধনী আনা জরুরী। বেসরকারী ২০৯ টি ম্যাটসের মধ্যে মাত্র ৬৮ টির বিএমডিসি’র স্বীকৃতি রয়েছে।

৭) ম্যাটস্ ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বঙ্গবন্ধুর প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮ইং) মোতাবেক বায়োলজী সহ বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাশ রাখতে হবে। সেই সাথে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদা ভাবে জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ প্রাপ্ত হতে হবে। চিকিৎসা পেশা একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল পেশা। তাই মেধাবী ও উপযুক্ত শিক্ষার্থী ছাড়া এ পেশায় কাউকে স্থান দিলে তা ভবিষ্যতে ভয়ংকর রূপ ধারন করতে পারে।

৮) হোমিওপ্যাথিক ডিপ্লোমা চিকিৎসক, ইউনানী ডিপ্লোমা চিকিৎসক, আয়ুর্বেদিক ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের একাডেমিক শিক্ষা ৪ বছর ও ইন্টার্নশিপ ৬ মাসের ন্যায় ম্যাটস্ ডিপ্লোমা কোর্সকে একাডেমিক ৪ বছর ও ইন্টার্নশিপ অতিরিক্ত ১ বছরসহ মোট ৫ বছরের কোর্সে উন্নীত করতে হবে।

৯) হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ডিপ্লোমাধারীগণ একাডেমিক শিক্ষায় ২১টি থেকে ২৪টি সাবজেক্ট পড়ে থাকেন। সেদিক বিবেচনায় ম্যাটস্ ডিপ্লোমা কোর্সের বর্তমান কম্বাইন্ড ১০টি সাবজেক্ট ভেঙ্গে স্বতন্ত্র ১৬টি সাবজেক্ট তৈরি করা জরুরী। প্রতিটি সাবজেক্টের নামের পূর্ব থেকে ‘বেসিক’ কথাটি প্রত্যাহার করতে হবে। উল্লেখ্য অন্টারনেটিভ মেডিসিন হোমিও, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ডিপ্লোমা কোর্সের সাবজেক্টের নামের পূর্বে ‘বেসিক’ কথাটি উল্লেখ থাকে না।
১৬ টি সাবজেক্টের নাম সমূহের বিবরণ নিম্নে দেয়া হলঃ

প্রথম বর্ষঃ ১। এনাটমী ২। ফিজিওলজি
৩। বায়োকেমিস্ট্রী ৪। ইংলিশ ৫। কম্পিউটার সায়েন্স।

দ্বিতীয় বর্ষঃ ৬। মাইক্রোবায়োলজী ৭। প্যাথলজি ৮। ফার্মাকোলজী এন্ড থেরাপিউটিকস্ ৯। কমিউনিটি হেলথ্ ১০। কমিউনিটি মেডিসিন।

তৃতীয় বর্ষঃ ১১। মেডিসিন এন্ড এ্যালাইড সাবজেক্টস্
১২। সার্জারী এন্ড এ্যালাইড সাবজেক্টস্
১৩। গাইনী এন্ড অবস্টেট্রিক্স
১৪। ইমার্জেন্সী মেডিকেল কেয়ার
১৫। হেলথ্ ম্যানেজমেন্ট
১৬। মেডিকেল ইথিক্স।

চতুর্থ বর্ষঃ
১। ৯ মাস মেয়াদী ইন্টার্নশিপ জেনালের হাসপাতাল/সদর হাসপাতাল সমমান হাসপাতাল সমূহে।
২। ৩ মাস মেয়াদী ইন্টার্নশিপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে।

১০) ম্যাটস্ ডিপ্লোমা কোর্সের প্রতিটি সাবজেক্টের বিষয়বস্তু অন্তর্ভূক্ত করণের সময় বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ ও সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশন প্রতিনিধিদের সাথে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন বিডিএমএ, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্টস্ এসোসিয়েশন বিডিএমএসএ, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ সম্মিলিত ডিপ্লোমা মেডিকেল শাখা, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্টস্ এসোসিয়েশনের পেশাজীবী ডিপ্লোমা চিকিৎসক ও ছাত্র সংসদ প্রতিনিধি রাখতে হবে। যাতে করে সাবজেক্টের বিষয়বস্তুতে প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা সহজতর হয়।

১১) বর্তমান সার্টিফিকেট ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইনক্লুডিং এক বছর ইন্টার্নশিপ (COURSE OF 4 (FOUR) YEARS INCLUDING ONE YEAR INTERNSHIP ) এভাবে উল্লেখ করতে হবে। অন্যথায় যেভাবে সনদ দেয়া হচ্ছে তাতে ডিএমএফ কোর্স ৪ বছর মেয়াদী তা প্রকাশ পায় না।

১২) প্রতিষ্ঠানের নাম মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস্ পরিবর্তন করে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, ইউনানী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল এর মতো “মেডিকেল ইন্সটিটিউট” অথবা “ডিপ্লোমা মেডিকেল ইন্সটিটিউট” করতে হবে। বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় ১০ বছর স্কুলিং পাশ বা এসএসসি পাশ করে শিক্ষার্থীরা কলেজ বা ইন্সটিটিউট সমূহে ভর্তি হয়। এসএসসি পাশ করে সেখানে আবার ম্যাটস্ স্কুলে ভর্তির প্রতি শিক্ষার্থীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। বিগত বছর গুলোতে ম্যাটস্ ডিপ্লোমা কোর্স ভর্তিতে নির্ধারিত আসন অনুযায়ী শিক্ষার্থী খোঁজে না পাওয়ার এটাও একটি বড় কারণ।

১৩) কোর্সের নাম মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স পরিবর্তন করে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রের মতো এ্যালোপ্যাথিক মেডিসিনে “ডিপ্লোমা ইন মেডিসিন এন্ড সার্জারী” ডিএমএস করা দরকার। আমরা চাই অতিদ্রুত “ডিএমএস” নামে কোর্স বাস্তবায়ন হোক।

১৪) ম্যাটস্ ডিপ্লোমা ডিগ্রির নাম ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিএমএফ পরিবর্তন করে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রের মতো “ডিপ্লোমা ইন মেডিসিন এন্ড সার্জারী” ডিএমএস নামে কোর্স চালু করতে হবে।

১৫) বর্তমান কোর্সের নাম মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স এবং প্রদত্ত ডিপ্লোমা ডিগ্রির নাম ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিএমএফ। কোর্সের নাম MATC আবার ডিপ্লোমা ডিগ্রির সনদের নাম DMF। যে কারণে জনমনে প্রশ্নের সন্দেহ জেগেছে ৪ বছর মেয়াদী ম্যাটস্ কোর্সটি ডিপ্লোমা সমমান কিনা। কাজেই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, কোর্সের প্রশ্নপত্র, কোর্সের রেজিষ্ট্রেশন সনদ, মার্কসীট, প্রভিশনাল, মূল সার্টিফিকেটসহ সকল দাপ্তরিক কাগজে কোর্স শিরোনাম “ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি” ডিএমএফ উল্লেখ করতে হবে। উল্লেখ্য ব্রিটিশ পাকিস্তান পিরিয়ডের রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ অধিভূক্ত ও তৎকালীন মেডিকেল কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধিত লাইসেন্সশিয়েট অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি LMF, মেম্বার অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি MMF ডিপ্লোমা সমমান চিকিৎসকদের কোর্স কারিকুলাম অনুসারে DMF কোর্সটির নামকরণ করা হয়।

১৬) প্রতিটি বেসরকারি মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের সাথে নূন্যতম ২০০ বেডের হাসপাতাল সংযুক্ত থাকতে হবে। যে সকল বেসরকারি ম্যাটস্ সমূহে ২০০ বেডের হাসপাতাল সংযুক্ত নেই সে সকল বেসরকারি ম্যাটস্ অনতিবিলম্বে বন্ধ করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল সমূহে বেসরকারি ম্যাটস্ ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।

১৭) অন্যান্য ডিপ্লোমা চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় ম্যাটস্ সমূহে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও অন্যান্য জনবল নিয়োগ দিতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার “এসএসিএমও” পদবিধারীরা যাতে সরকারি ম্যাটস্ সমূহে টিউটর শিক্ষক/লেকচারার হিসেবে পদোন্নতি পায় সেই ব্যবস্থা অতিদ্রুত নিতে হবে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদ সৃষ্টি করে অতিদ্রুত শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করতে হবে।

১৮) রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের ওয়েবসাইটে ম্যাটস্ ডিপ্লোমা কোর্স কারিকুলাম, নীতিমালা, ইন্টার্নশিপ লগবুক সহ যাবতীয় তথ্য অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

১৯) বিএমডিসি’র গঠনতন্ত্রে গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকদের একশর অধিক সদস্যপদ রাখা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় উক্ত গঠনতন্ত্রে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের কোন প্রতিনিধি রাখা হয় নি। ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা যেহেতু উক্ত বিএমডিসি কাউন্সিল নিবন্ধিত তাই এখানকার সদস্যপদ তাদের আইনগত অধিকার। অতিসত্তর বিএমডিসি’র গঠনতন্ত্রে বিডিএমএ’র ৫ জন সদস্যকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

২০) ভুয়া চিকিৎসকদের অপতৎপরতা বন্ধের জন্য প্রায় ৭ বছর পূর্বে বিএমডিসি কর্তৃক চিকিৎসকদের জন্য ডিজিটাল সনাক্তকরণ ওয়েবসাইট চালু করা হয়। চিকিৎসক সনাক্তকরণ ডিজিটাল ওয়েবসাইটে নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে সার্চ করে চিকিৎসক ও দন্ত চিকিৎসকদের ছবিসহ নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় উক্ত সনাক্তকরণ ডিজিটাল ওয়েবসাইটে বিএমডিসি নিবন্ধিত ২০ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের বাদ রাখা হয়েছে। যার কারণে ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা কর্মক্ষেত্রে হয়রানি সহ ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জেল জরিমানার সম্মুখীন হচ্ছেন। এমতাবস্থায় নিবন্ধিত সকল ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের ছবিসহ নাম ও ঠিকানা অতিদ্রুত চিকিৎসক সনাক্তকরণ ডিজিটাল ওয়েবসাইটে দেয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।

২১) বিএমডিসি কর্তৃক প্রদত্ত ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের পেশাগত নিবন্ধন সনদ বাংলা ভার্সনে দেয়া হয়। যে কারণে উক্ত পেশাগত নিবন্ধন সনদ দেশের বাইরে কাজে লাগানো যায় না। দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের জন্য পেশাগত নিবন্ধন সনদ ইংলিশ ভার্সনে দেয়া প্রয়োজন। এমবিবিএস, বিডিএস ধারীর পেশাগত নিবন্ধন সনদ ইংলিশ ভার্সনে দেয়া হয়।

২২) বিএমডিসি কর্তৃক প্রদত্ত ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের পেশাগত নিবন্ধন সনদে মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট প্র্যাকটিশনার-পেশাদার লেখা থাকে। অপরপক্ষে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী, আয়ূর্বেদিক ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের পেশাগত নিবন্ধন সনদে ডিপ্লোমা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল প্র্যাকটিশনার, ডিপ্লোমা ইউনানী মেডিকেল প্র্যাকটিশনার, ডিপ্লোমা আয়ূর্বেদিক মেডিকেল প্র্যাকটিশনার লেখা থাকে। এমতাবস্থায় ডিএমএফ ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের পেশাগত নিবন্ধন সনদে মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট প্র্যাকটিশনার পরিবর্তন করে ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাকটিশনার লেখা প্রয়োজন।

২৩) বেসরকারি হাসপাতাল/ ক্লিনিকে ডিপ্লোমা চিকিৎসক নিয়োগের কোন নীতিমালা নেই। যে কারণে বেসরকারি হাসপাতাল/ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ডিপ্লোমা চিকিৎসক নিয়োগ দেন না। অপরপক্ষে অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল/ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নন-মেডিকেল পার্সন দিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ করে যাচ্ছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বেসরকারি হাসপাতাল/ ক্লিনিকে ডিপ্লোমা চিকিৎসক নিয়োগের নীতিমালা তৈরি করে দিলে বেকার ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা বেসরকারি চিকিৎসা সেবা সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

২৪) রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের সাময়িক সনদে মূল সনদের ন্যায় কোর্স শিরোনাম ‘ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি’ উল্লেখ নেই। এটি বিরাট রকমের একটি ভুল। সারাবিশ্বের সকল সাময়িক সনদে কোর্স শিরোনাম উল্লেখ থাকে। কাজেই এখন থেকে সাময়িক সনদে কোর্স শিরোনাম ‘ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি’ উল্লেখ করা প্রয়োজন। অন্যথায় এটি যে ডিপ্লোমা কোর্স সাময়িক সনদে তা প্রমাণ হয় না।

২৫) রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের গাফিলতির কারণে পাশ করার পর মূল সনদ পেতে প্রায় ২ বছর সময় লেগে যায়। এদিকে মূল সনদ পাওয়ার পর বিএমডিসিতে নিবন্ধন করতে গেলে উক্ত ২ বছরের জরিমানা প্রদান করতে হয়। এমতাবস্থায় সাময়িক সনদ দিয়েই যাতে বিএমডিসি নিবন্ধন করা যায় সে বিষয়ে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

২৬) বিএমডিসি আইন-১৯৮০ অনুযায়ী এমবিবিএস, বিডিএস, ডিএমএফ ডিগ্রিধারীরা নামের পূর্বে (ডাক্তার) প্রিফিক্স ডা. লিখে আসছিলেন। পরবর্তীতে সংশোধিত বিএমডিসি আইন-২০১০ তৈরি হলে উক্ত আইনে ষড়যন্ত্র করে ২৯(১) ধারায় একটি লাইনে সুকৌশলে ডিএমএফ ডিগ্রিধারীদের বাদ রাখা হয়। যার ফলে ডিএমএফ ডিগ্রিধারীরা মহামান্য সবোর্চ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ মোতাবেক তাদের নামের পূর্বে (ডাক্তার) প্রিফিক্স ডা. ব্যবহার করে থাকেন। এমতাবস্থায় বিএমডিসি আইন-২০১০ এর ধারা ২৯ (১) স্থলে ডি.এম.এফ ডিগ্রি সংযোজন করা প্রয়োজন। যাতে করে ডিএমএফ ডিগ্রিধারীরা পূর্বের ন্যায় নামের পূর্বে (ডাক্তার) প্রিফিক্স ডা. ব্যবহার করতে পারেন। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড পাশ ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী ডিএইচএমএস ডিগ্রিধারীরা বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স আইন-১৯৮৩ অনুযায়ী ডিপ্লোমা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা নামের পূর্বে (ডাক্তার) প্রিফিক্স ডা. ব্যবহার করতে পারেন।

অতএব, উপরোক্ত প্রস্তাবনা সমূহ বিশেষ বিবেচনা করে মানহীন বেসরকারি ম্যাটস্ বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষাকে যুগোপযোগী করণের জন্য স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

 

বিএমডিসি নিবন্ধিত সকল ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের পক্ষে লিখেছেন…
ডা. এম. মিজানুর রহমান (জনস্বাস্থ্যবিদ)
সাবেক; তথ্য, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিডিএমএ), কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ।
সাংগঠনিক সম্পাদক,
পাবলিক হেলথ্ স্পেশ্যালিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (পিএইচএসএবি), কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ।
আইন শাস্ত্রের শিক্ষার্থী ও সুলেখক।

আপনার মতামত দিন :