কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, গড়ে উঠবে স্বনির্ভর বাংলাদেশ।

প্রকাশিত: ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২০

কৃষি প্রধান আমাদের এই দেশ।
দেশের ৮০ ভাগ মানুষ গ্রামে বসবাস করেন।
এর মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।এই ৭০ ভাগ মানুষই দেশের মুল চালিকা শক্তি।এই বিশাল জনগণকে অগ্রায্য করে,দেশের স্বার্ভিক উন্নয়ন কখনোই সম্ভব না।
যারা দেশের মানুষে খাদ্য নিশ্চয়তা দিতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিন রাত পরিশ্রম করছে তাদের কতটুকু মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে পারছে রাষ্ট্র?

৫টি মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম ১!খাদ্য ২!শিক্ষা ৩!চিকিৎসা। তিনটিই একটি অপরটির সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জরিত। অল্প সময়ে,কম খরচে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য চাই প্রয়োজনীয় কৃষি শিক্ষা। ঠিক তেমনই শিক্ষা গ্রহণ করতে চাই সুস্থ মন, সুস্থ দেহ। সুস্থ মন ও দেহের জন্য দরকার চিকিৎসা। তাই এই তিনটি মৌলিক বিষয়ের সমন্বয়, স্বনির্ভর জাতি গঠনে অত্যন্ত প্রয়োজন।
২০ ভাগ মানুষ শহরে বসবাস করে। এই অল্প সংখ্যক মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরন করতে জাতীয় উন্নয়ন বজেটের প্রায় শতকরা ৬৫ ভাগ ব্যয় করা হচ্ছে।তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন রাস্তা ঘাঠ, স্কুল, কলেজ, অত্যাধুনিক হাসপাতাল।অপর দিকে ৮০ ভাগ জনগণের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে ব্যয় হচ্ছে ৩৫ শতাংশ।
বঙ্গবন্ধু কন্যা,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষনায় এবার গ্রাম হবে শহর। এই ঘোষনাকে বাস্তবায়ন করতে হলে,বঙ্গবন্ধুর প্রথম ৫ম বার্ষিকি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু প্রথমেই নজর দিয়ে ছিলেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের ভঙ্গুর স্বাস্থ্যখাতের দিকে। তৃনমূলের ৮০ শতাংশ খেটে খাওয়া জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে, অল্প সময়ে স্বল্প ব্যয়ে,মধ্যম মানের দক্ষ চিকিৎসক তৈরির লক্ষে নেদারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় সারা দেশে ১৭টি মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যার্টস্) প্রতিষ্ঠা করেন। এবং বলা হয় অন্যান্য ডিপ্লোমাদের ন্যায় কোর্সটি পরিচালিত হবে। থাকবে উচ্চ শিক্ষা ও পদন্নোতি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক হত্যা কান্ডে শাহাদত বরণ করার পর কোর্সটি পরিচালিত হয়েছে,বাস্তবায়ন হয়নি বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা।
লক্ষ্য করলে দেখা যায় দেশের উপ-জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এ ছাড়া বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে তৃণমূল পর্যায় দক্ষতার সাথে মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যার্টস) থেকে পাসকৃত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারগন চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে প্রায় ৩০০০ হাজার উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য আছে। কভিড-১৯ এর এই ভয়াবহতায় দক্ষ জনবল নিয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত সহ জনসচেতনতার তৈরির মাধ্যমে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা এবং নিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ জনবলের কর্মসংস্থান অনেক আংশেই সম্ভব।

পরিশেষে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট বিনীতভাবে অনুরোধ,বঙ্গবন্ধুর প্রথম ৫ম বার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পদন্নোতি ও উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করার বিনীত পার্থনা করছি।

-ডাঃ আমিনুল ইসলাম।
সাধারন সম্পাদক,
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশ(বিডিএমএ)
টাঙ্গাইল জেলা শাখা।

আপনার মতামত দিন :