প্রবীণদের মর্যাদা ও যত্নে চাই সমন্বিত পদক্ষেপ

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০

বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তিগণের মর্যাদা ও যত্নের জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট নাগরিক ও বিশেষজ্ঞগণ। বিশ্ব আলঝাইমার’স মাস উপলক্ষে ২০ সেপ্টেম্বর রবিবার, যুক্তরাজ্যের কেন্ট ব্রেইন ইনজুরি কেয়ার এন্ড গ্লোবাল কোলাবোরেশন এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি এসোসিয়েশন ও স্যার উইলিয়াম বেভারিজ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা এ অভিমত পোষণ করেন। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাগরিক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আকবর আলি খান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল, মেঃ জেঃ (অব) জীবন কানাই দাস, মেঃ জেঃ (অব) মোঃ ফসিউর রহমান, এডভোকেট আলেয়া আক্তার, মোঃ হাসান আলী, ডাঃ এস চক্রবর্তী, ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন ও জাওয়াদ মাহমুদ ওয়াফী।

সভার সভাপতি ডাঃ মোহাম্মদ সাকেল তার মূল প্রবন্ধে যুক্তরাজ্যের ইস্ট কেন্ট হসপিটালস ইউনিভার্সিটি এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাষ্টের নিউরোরিহ্যাবিলিটেশন এর পরিচালক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে বাংলাদেশের প্রবীণদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, গবেষনা ও কল্যাণে কাজে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রবীণদের কল্যাণে “মেন্টাল ক্যাপাসিটি এক্ট” বাস্তবায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়কে অনুরোধ করেন।

অধ্যাপক ড. আকবর আলি খান বলেন, প্রবীণদের নিয়ে একটা আলাদা মন্ত্রণালয় জরুরী। তিনি বলেন, প্রবীনদের সেবায় পরিবার, কেয়ারগিভার, চিকিৎসাপেশাজীবী ও সমাজকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি প্রবীণদের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারকে কাজ করার আহবান জানান। মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, প্রবীণদের উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বহুমাত্রিক উপায়ে কাজ করে যাচ্ছে, তিনি প্রবীণদের আলাদা মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানান। প্রবীণদের জন্য “মেন্টাল ক্যাপাসিটি এক্ট” বাস্তবায়নে তিনি সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। মেঃ জেঃ (অব) জীবন কানাই দাস আলঝাইমার’স রোগে যত্ন ও পারিবারিক সমর্থনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ডিমেনশিয়াকে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। মেঃ জেঃ (অব) মোঃ ফসিউর রহমান বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সম্মলিত সামরিক হাসপাতাল যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সেভাবেই প্রবীণদের যত্নে চিকিৎসক, পেশাজীবী, সেবিকা সহ সকলকে উদ্যোগী হতে হবে। মোঃ হাসান আলী ও এডভোকেট আলেয়া আক্তার বলেন বাংলাদেশে “মেন্টাল ক্যাপাসিটি এক্ট” বাস্তবায়নের জন্য গতবছর সুপ্রীম কোর্ট মিলনায়তনে ডাঃ মোহাম্মদ সাকেল ও ডাঃ আইরাসেমা লিওরি এর নেতৃত্বে একটি সেমিনারে আইন বিশেষজ্ঞগণ সরকারকে অনুরোধ করেছেন। তারা এ আইন দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারকে আহবান জানান। ডাঃ এস চক্রবর্তী ও ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল বাস্তবায়িত হলে প্রবীণদের জন্য পুনর্বাসন সেবার মানোন্নয়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। জাওয়াদ মাহমুদ ওয়াফী প্রবীণদের কল্যাণে কাজ করার জন্য সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণকে আহবান জানান। ওয়েবিনারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের পক্ষে কে এম এমরান হোসেন ও কেন্ট ব্রেইন ইনজুরি ফোরামের পক্ষে আই.এম. মোসতাজির বিল্লাহ উপস্থিত অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আপনার মতামত দিন :