বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার আহ্বান

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি, আর্থিক সাশ্রয় ও আবাসনের সমস্যা নিরসনে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নেয়ার চেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশন (ইউজিসি) করে আসছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ঐকমত্যও জানালেও বড় চারটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পিছিয়ে রয়েছে।

রোববার (১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্যের প্রতি এ আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে বিশাল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গণপরিবহনে যাতায়াতের ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তাই করোনা প্রকোপ রোধকল্পে সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করার বিষয়টি আরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে তা হবে মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবং আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় উপহার।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় ‘৭৩-এর আদেশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তিনটির উপাচার্য এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও আচার্যের অভিপ্রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমস্যা নিরসনে এবং বিশেষ করে করোনা সঙ্কটকে বিবেচনায় নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ এবং এর স্বচ্ছতা ও মান বজায় রাখার বিষয় নিশ্চিত করতে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি অবলম্বনে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সঙ্গে আলোচনা করে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।

সভায় আরও যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ, কমিশনের অন্যান্য সকল সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহান ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।

আপনার মতামত দিন :