কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ১:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২০

করোনা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মহামারীরুপ ধারণ করেছে। এটা মোকাবেলা করা দেশের স্বাস্থ্যখাতের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ডাঃ এম সাহিদুর রহমান বাবু।

তিনি উল্লেখ করেন দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে পিছিয়ে নেই ডিপ্লোমা চিকিৎসকগনও। দেশের সকল পরিবার ও স্বাস্থ্য কল্যাণকেন্দ্র, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ দেশের জুরুরি বিভাগে ডিপ্লোমা চিকিৎসকগন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছেন ডাঃ এম সাহিদুর রহমান বাবু।

তিনি এসময় চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পনের জন ডিপ্লোমা চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। এরপরও থেমে নেই ডিপ্লোমা চিকিৎসকগন।

তিনি আরো জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা হাসপাতালের করোনা সেলে কাজ করে আসার পর একজন ডিপ্লোমা ইন্টার্ণী বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যবরণ করেন। নির্ধারিত সময়ের পরে নমুনা সংগ্রহ করায় রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তথাপিও তিনি তাকে করোনা শহীদ আক্ষ্যায়িত করেন। শহীদি মর্যাদায় ভূষিত করেন সিলেটের করোনায় মৃত্যবরণ করা চিকিৎসক ডাঃ মঈনউদ্দীন খানকে।

তিনি উল্লেখ করেন দেশজুড়ে ডিপ্লোমা চিকিৎসকগণ মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন।

এই সময় পাবনার চাটমোহরে তরুন ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের উদ্যোগে গঠিত ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিমের প্রশংসা করেন। উল্লেখ করেন চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাওয়ার মতো প্রয়োজনের সামগ্রী অধিকাংশ ডিপ্লোমা চিকিৎসকই পাননি। তথাপিও ডিপ্লোমা চিকিৎসকগন পিছিয়ে নেই।

তিনি এই সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন মহাপরিচালক স্বাস্থ্য সাংবাদিক সম্মেলনে সকলের কথা বললেও ডিপ্লোমা চিকিৎসক তথা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের কথা উল্লেখ করছেননা। এতে করে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাওয়া তৃণমূলের চিকিৎসাগণ হতাশ হচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি উল্লেখ করেন ডিপ্লোমা চিকিৎসকগণ বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল নিবন্ধিত হওয়ার পরও ডাঃ উপাধি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

অন্যান্য সকল ডিপ্লোমার নিয়োগ সহ, পদোন্নতি, দশমগ্রেড বাস্তবায়ন হলেও বরাবরই বঞ্চিত হচ্ছে এই চিকিৎসক জাতি। একই চেয়ারে তাদের কর্মজীবন জীবন কেটে যায় বলে তিনি হতাশা ব্যাক্ত করেন।

সংগঠন টির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ মিজানুর রহমান  বলেন বি এম ডি সি র একটি ধারায় বলা আছে এম বি বি এস, বি ডি এস এবং ডি এম এফ ব্যাতিত কেউ এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করতে পারবে না।এই আইন টি প্রচার না করে একটা শ্রেণির লোক শুধু ২৯ এর ২ ধারাটির অংশিক প্রচার করে, আমাদের কে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে, যাহা নিয়ে মামলা চলমান আছে এই বিষয়টা তারা গোপন করে যাচ্ছে।

এই সময়ে তারা সকল ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যখাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সহ দ্রুত নিয়োগ সহ দশম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।

তারা খুব দ্রুত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সংকট কাটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে জড়িত সকল ডিপ্লোমা চিকিৎসক সহ চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট সহ আরো যারা জড়িত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

আপনার মতামত দিন :