নার্সিং শিক্ষার্থীর উপর হামলা

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
নার্সিং শিক্ষার্থীর উপর হামলা

জয়পুহাট জেলার কালাই উপজেলা তে আজ এই ঘটনার সূত্রপাত। বাবার সম্পদের অংশীদারীত্ব দাবি করায় মা এর সামনে নার্সিং পড়ুয়া মেয়েকে বেধরক মারধর করে মারাত্নক জখম করেছে প্রতিপক্ষ।

 

আজ এক ফেসবুক স্ট্যাটাস এ এক অসহায় মা এর আর্তনাদ তুলে ধরেছে উক্ত ছাত্রীর এক স্বজন।
স্ট্যাটাস্টি তুলে ধরা হলোএই দেশের আইন কি মেয়েদের এতটায় তাচ্ছিল্য করে?এদেশে কি এভাবেই দিনে দুপুরে একটা মেয়ের গায়ে হাত দিয়ে কেউ রেহাই পেয়ে যায়??
এ দেশে কি আইন এতটায় সহজ?
এখানে কি বিচার ব্যবস্থা নিরপেক্ষ নাহ?
এদেশে কি এক অসহায় মা সাড়াজীবন শুধু কষ্ট ই করে যাবে আর বিনিময়ে লাঞ্চনা,আর অত্যাচার ছাড়া কিছুই পাবে নাহ?
শুধুমাত্র তার তিন মেয়ে আর তার হাজবেন্ড রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছেন এইটাই কি তার অপরাধ?

তার স্বামী মারা যাওয়ায় দেশের আইন তাদের(অসহায় মায়ের স্বামীর বোন/ভাইদের) অংশীদার করেছে বলে তারা প্রপার্টির ভাগ নিতে এসে মাঠেই মেরে ফেলবে মায়ের চোখের সামনে তার সন্তানকে এটাই কি এই দেশের আইন?
তাদের যুক্তিযুক্ত কাগজ দেখাতে বললে তারা মায়ের উপর ও হামলা চালাতে উদ্যত হয় তাদের পেশীর জোড় দেখাতে চাই এটাই কি এই দেশের আইন??
যেখানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন ছেলে মেয়ে সবাই সমান সেখানে শুধুমাত্র মায়ের ছেলে সন্তান নাই বলে তার হাজবেন্ড এর সম্পত্তি নিয়ে এত্ত টানাটানি?
আর এর জন্যই শুধুমাত্র একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের গায়ে ওরা হাত তুলতে পারে?
লাঠি দিয়ে মারতে মারে?
ছেলে মানুষ কি করে গায়ে হাত দেয় মেয়েটার??
অসহায় মা শুধু শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে অসহায়ের মত..তার এত যত্নে মানুষ করা সন্তানদের মারতেছে লোকজন আর সে এগোতে গেলে তার দিকে ও ধেয়ে আসছে।
এটাই কি এই দেশের আইন..?

যেই মা কষ্ট করে ৩ মেয়েকে হাজবেন্ড মারা যাবার পর মানুষ করেছেন শিক্ষিত করেছেন একজনকে পাব্লিক ইউনি থেকে পড়িয়েছেন সরকারী চাকুরে বানিয়েছেন আর ২ জন ও সেই পথেই হাটছে নির্যাতিত মেয়েটি নিজে ও দেশসেবার একজন অগ্রগতি সৈনিক হতে পারবে সে নিজে ও নার্সিং এর একজন স্টুডেন্ট তো যেই মা দেশের জন্য এত কিছু দিলো সেই মায়ের কি এই প্রাপ্য এই দেশের কাছে থেকে?? আমাদের মাননীয় প্রাধান মন্ত্রী কি এই জাতি দেখতে চান?
জাতির কাছে প্রশ্ন আমার এইগুলো?
আর এর সমাধান ই বাহ কি?

আমাদের এলাকা জয়পুরহাট জেলার মাননীয় সংসদ সদস্য আমাদের সকলের প্রিয় জনাব Abu Sayeed Al Mahmood, ভাই যিনি সব সময় সব সমস্যার সমাধান করেছেন কেউ তার কাছে গিয়ে খালি হাতে ফিরেনি বলে রেকর্ড আছে। তিনি এই বিষয় টা কি একটু দেখবেন? কেন একজন স্টুডেন্ট মেয়ে এইভাবে দিনে দুপুরে নির্যাতিত হবে?কেন অসহায় মায়ের বুক খালির চেষ্টা করা হব।

আপনার মতামত দিন :