অভিন্ন ল্যাবরেটরি রিপোর্ট ও একটি প্রত্যাশা

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২০

Absolute diagnosis for proper treatment..
সঠিক চিকিৎসার পূর্ব শর্ত হলো সঠিক রোগ নির্ণয় করা।আমদের দেশে রোগ নির্ণয়ের জন্য যথেষ্ট পরিমান রোগ নির্ণয়ের প্রাণ ( Nucleus of laboratory) তথা Medical Technologist থাকা সত্ত্বেও একই রোগির রিপোর্ট একাধিক ল্যাবরেটরিতে ভিন্নতা (variation) দেখা দেয়।বিজ্ঞান ভিত্তিক Standard Deviation (SD) +- 5 হতে পারে।কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যত্যয় ঘটে।ফলে রিপোর্টের প্রতি আস্থাহীন হয়ে একটা বিপুল অংশ রোগী প্রতিবেশি দেশসহ বিদেশে বিলিয়ে আসেন এদেশের অর্থ।

একটা Sample এর Unique result নিশ্চিত করার জন্য Quality Control (QC),Quality Assurence (QA) কিংবা Quality Management (QM) করা অপরিহার্য। QC নিশ্চিত করার জন্য Accuracy, Precission,Sensitivity,Specificity ১০০% নিশ্চিত করতে হবে।

Accuracy এবং Precission নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতারর উপর।Sensitivity এবং Speceficity গুনগত মান নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট Instrument এর Efficacy ‘র উপর।

আর সামগ্রিক ভাবে Accuracy, Precission,Sensitivity এবং Specificity যৌথভাবে Standard Operating Procedure (SOP) এর উপর নির্ভরশীল।
SOP সঠিকভাবে প্রতিপালনের জন্য একটি নমুনার আন্তঃল্যাবরেটরি সমূহে Cross Cheking বাধ্যতামূলক।

আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত National Standard Laboratory গড়ে ওঠেনি। তবে ঢাকার আগার গাঁওয়ে প্রতিষ্ঠিত Institute of Laboratory Medicine and Referal Center (NILMRC) আমাদের আশার বাতিঘর হতে পারে।

দেশে বিদ্যমান ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ব্যবহৃত Laboratory Instruments গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা অনুযায়ী স্থাপন করা হয়ে থাকে।
এটার Sencitivity,Specificity ‘র মানদন্ড নিয়ে কোথাও জবাবদিহি করতে হয় না।এমনকি যেসব Reagent ব্যবহার করা হয় সেগুলির Efficacy নিয়েও তেমন একটা বাছবিচার এর বাধ্যবাধকতা সচরাচর দেখা যায় না।

আমাদের NILMRC কে আরো শক্তিশালী করে Bangladesh Standard and Testing Institute (BSTI) এর মত এ সকল Laboratory Instrument এবং Dignostic Kits এবং Reagent এর মাননিয়ন্ত্রন এর ক্ষমতা প্রদান করা সময়ের দাবী।

NILMRC কে জাতীয় রেফারেন্স ল্যাবরেটরীর মর্যাদায় উন্নীত করে তার আওতায় প্রতিটি জেলা সদরে একটি করে Reference Laboratory প্রতিষ্ঠা করতে হবে।যেখানে সংশ্লিষ্ট জেলায় বিদ্যমান মেডিকেল কলেজ (যদি থাকে) এবং সদর হাসপাতালের আন্তঃসমন্বয় থাকবে। প্রতিষ্ঠানটিকে ২৪ ঘন্টা সেবা দেওয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।

NILMRC থেকে সংশ্লিষ্ট Laboratory Instrument,Diagnostic Kit এবং Reagent এর Unique SOP তৈরি করে দেশের সকল ল্যাবরেটরিতে প্রেরন করতে হবে এবং বাধ্যতামূলক Cross cheking করাতে হবে।
এজন্য গ্রাজুয়েট এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের Laboratory Quality Control Officer হিসেবে NILMRC এর মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে মাঠ পর্যায়ে Super Vission এর জন্য কাজে লাগাতে হবে।
সরকারী-বেসরকারী এবং ব্যক্তিপর্যায়ে গড়ে ওঠা ল্যাবরেটরি /ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত সকল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কে নিয়মিতভাবে NILMRC তে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রত্যাশা করি সকল ল্যাবরেটরির রিপোর্ট হোক অভিন্ন।মানুষ হয়ে উঠুক আস্থাশীল।রোগ নির্নয়ে কমে আসুক বিদেশ নির্ভরতা…

শহিদুল ইসলাম বেলাল
বিএসসি ইন এমটি ল্যাবরেটরি (রাঃবিঃ)
এমপিএইচ (ইপিডেমিওলজি- রাঃবিঃ)
লেকচারার, আইএইচটি,রাজশাহী।

আপনার মতামত দিন :