কোভিড-১৯ এর সমকালীন হালচাল

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২০

কোভিড-১৯ আক্রান্তরা প্যানিক। আর যারা এখনো আক্রান্ত হয়নি তারা মহা প্যানিক।আক্রান্তের পরিবার নিদারুন অসহায়। বাসার ১০ বছরের বাচ্চাটাও ৫০ বছরের আক্রান্ত রোগীর সেবা শুশ্রুষায় এগিয়ে আসছে। সেও যখন তখন আক্রান্ত হতে পারে। প্রশাসনের লোকজন আক্রান্ত পরিবারের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তাদের পরামর্শ না শুনলে বাসা লকডাউন। ভাল লাগছে তাদের সিদ্ধান্ত।সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ আক্রান্তের ডাটাবেজ তৈরি করছেন টেলিফোনিক যোগাযোগের মাধ্যমে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ প্রোগ্রাম থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এটাও ভাল…
তবে রোগীকে হাসপাতালে নিতে চাইলে কিংবা করোনা উপসর্গ সম্ভাব্য রোগীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়ার প্রত্যাশা করা হলে কৌশলে নিরুতসাহিত করা হচ্ছে। এটি মেনে নিতে পারছিনা…

জ্বর -সর্দির রোগীদের যে কি নাজেহাল অবস্থা সংশ্লিষ্টরাই তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারছে।কোভিড আক্রান্ত রোগীকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনের আরো বেশি বেশি ব্যবস্থা গ্রহন জরুরী হয়ে পড়েছে। নইলে খুব দ্রতই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিশুরা আক্রান্ত হতে শুরু করবে..যার মূল্য নিরুপন সম্ভব নয়।

একজন কোভিড আক্রান্ত রোগীর সেবা শুশ্রুষা,পথ্য ও প্রয়োজনীয় উপকরন সরবরাহ ব্যয়সাধ্য। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর এই সেবা পাওয়া অনেটা দুঃসাধ্য। সদাশয় সরকারের পাশাপাশি হৃদয়বান বিত্তশালীদের হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর মত বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোজ নেওয়ার মত পরিস্থিতি প্রায় হয়েই গেছে। এনড্রয়েডের ফ্রন্ট ক্যামেরার ক্যারিশমায় এই ত্রান বিতরনে গরীব মানুষকে বাঁচানো যাবেনা..

যেভাবে উপসর্গহীন নিরব সংক্রমন ( Asymptomatic silent infection)বাড়ছে তাতে কোন পরিবারই এই মহামারির বাইরে থাকবে বলে মনে করছিনা। এখনো যতটুকু সময় পাওয়া যায় তাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নাই।

শহিদুল ইসলাম বেলাল
চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ ও
রোগতত্ত্ববিদ।

আপনার মতামত দিন :